সিবিএন ডেস্ক:

তীব্র দাবদাহ অস্বস্তিকর হলেও অনেকের জন্য স্বস্তির। বিশেষ করে করে কক্সবাজার উপকূলের লবণ চাষীরা এই তীব্র দাবদাহে খুবই খুশি।

কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলার লবণের মাঠে চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর লবণের বাম্পার ফলন হচ্ছে।

ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুরের লবণ চাষিরা বলেন, অন্যান্য বছর যেখানে এক বেড় থেকে ২০-৩০ কেজি লবণ পাওয়া যেত সেখানে এই বছর তা তিনগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

টেকনাফের হ্নীলার লবণ চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রচণ্ড গরমে লবণের বেডে পানি দেওয়া কোনো রকম ব্যর্থ হচ্ছে না। ভালো লবণ পাওয়া যাচ্ছে। এতে এই তীব্র দাবদাহেও খুশিতে দিন কাটাচ্ছেন তারা।

পেকুয়ার লোকালয়ে বন্য হাতি

লবণ চাষীরা আরও বলেন, এই বছর প্রচুর পরিমাণ লবণ উৎপাদন হচ্ছে। সাধারণত গত কয়েক বছর মাঠের ছোট ছোট প্রতিটি বেড থেকে গড়ে ২০ থেকে ৩০ কেজি লবণ উৎপাদন হলেও এই বছর তা ছাড়িয়ে গেছে। এই প্রচণ্ড তাপে প্রতি বেড় থেকে প্রায় ৮০ কেজি অর্থাৎ ২ মণ করে লবণ উৎপাদিত হচ্ছে যা স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন বলে তাদের ধারণা।


তাদের দাবি, এবছর লবণের দাম একটু কম। যদি সরকার লবণের দাম বাড়ায় তাহলে তাদের তীব্র দাবদাহে শরীরের ঘামের মূল্যায়ন করা হবে। এতে লবণ চাষে সবার আগ্রহ তৈরি হবে।

বিসিক তথ্যসূত্র মতে,গত ৬৩ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে এবারের লবণ উৎপাদন। গত বছর লবণ উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ১৮ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিক টন যা এবছর মৌসম শেষ হওয়ার আগে এখন পর্যন্ত ২২ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। এ বছর দেশে লবণের চাহিদা ২৫ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন। বাকি ১৬ দিন যদি আবহাওয়ার অনুকূলে থাকলে আরও ২৫-২৬ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

খবর পড়ুন:

তীব্র দাবদাহে ১০ শিক্ষার্থীসহ ১৩ জন হাসপাতালে

টেকপাড়ার আজিজুল হক বাদশা’র জানাজা ও দাফন সম্পন্ন

আরও খবর পেতে যুক্ত থাকুন CoxsbazarNEWS.com এর সাথে।